Header Ads

কৃষ্ণানন্দ আগমবাগীশ (তান্ত্রিক কালী-সাধক)

কালী

তান্ত্রিক কালী-সাধকদের মধ্যে কৃষ্ণানন্দ আগমবাগীশ অগ্রগণ্য। বাংলার সাধকগণ যখন তন্ত্রের মূলধারা থেকে বিচ্যুত হয়ে যাচ্ছিলেন তখন আদ্যাশক্তি মহামায়া তাঁকে তন্ত্রশাস্ত্রের পুনরুদ্ধার এবং তাঁর মাতৃরূপিণী বিগ্রহের পূজা করার নির্দেশ দেন। তখন কৃষ্ণানন্দ মহামায়াকে বললেন, “মা, তোমার যে রূপের পূজা আমি করব আমাকে সে রূপ দেখিয়ে দাও”। তখন মা বললেন, “যে ভঙ্গীতে আমার এই বিগ্রহের পূজা তোমার দ্বারা প্রচলিত হবে, তা আমি মানবদেহের মাধ্যমেই দেখিয়ে দেব। এই রাত শেষে সর্ব প্রথম যে নারীকে যে রূপে যে ভঙ্গীতে দেখবে, ঐরকম মূর্তিতে আমার পূজার প্রচলন করবে। মায়ের নির্দেশমত পরদিন প্রাতেঃ কৃষ্ণানন্দ গঙ্গার দিকে কিছু দূর অগ্রসর হওয়ার পর এক শ্যামাঙ্গিনী গোপকুমারীকে দেখতে পান। গোপকুমারী অপরূপ ভঙ্গীতে দক্ষিণ পদ কুটিরের বারান্দার উপরে এবং বামপদ ভূতলে দিয়ে দাড়িয়ে ছিলেন। তিনি একতাল গোময়যুক্ত দক্ষিণ করতল এমনভাবে উচু করে ধরেছিলেন যা দেখে বরাভয় মুদ্রার মত মনে হয়েছিল। বাম হস্ত দিয়ে তিনি কুটিরের দেয়ালে মাটির প্রলেপ দিচ্ছিলেন। তিনি ক্ষুদ্র পরিসরে একটি শাড়ি পড়ে ছিলেন। তাই কৃষ্ণানন্দকে দেখে তিনি লজ্জায় জিব্‌ কেটেছিলেন। তাঁর এরকম ভঙ্গী দেখে কৃষ্ণানন্দের মায়ের প্রত্যাদেশের কথা মনে পড়ে গেল। তারপরই তিনি মায়ের ঐরকম মূর্তি রচনা করে পূজার প্রচলন করলেন। তিনি তন্ত্রসার শ্রীতত্ত্ববোধিনী নামক দুখানা গ্রন্থ রচনা করেছিলেন যা তৎকালীন পণ্ডিতবর্গের নিকট সমাদ্রিত হয়েছিল এবং অদ্যাবধি গ্রন্থ-দুখানা তান্ত্রিক তথা সকল সাধকের নিকট আদরণীয়।     

কোন মন্তব্য নেই

Akash Bairagi. Blogger দ্বারা পরিচালিত.